ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের শিক্ষা ভবন ঘেরাও

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১২-০২-২০২৫ ১০:৫৫:০১ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-০২-২০২৫ ১১:৪৮:১৭ পূর্বাহ্ন
ফের শিক্ষা ভবন ঘেরাও সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হকের প্রত্যাহার দাবিতে ফের শিক্ষা ভবন ঘেরাও করেছে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট।

বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার পর আব্দুল গনি রোডে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মূল ভবনের সামনে শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর শিক্ষকরা মূল ভবনের সামনে এসে ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের কর্মসূচি ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শিক্ষকদের দাবি, মহাপরিচালককে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত আলটিমেটাম দেওয়া ছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে এখনো সপদে বল রেখেছে। অবিলম্বে তাকে ডিজি পদ থেকে প্রত্যাহার না করলে সামনে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন‌ তারা। একইসঙ্গে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক পদে ড. জুলফিকার হায়দারকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট।

শিক্ষকরা দাবি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পদায়ন পাওয়া অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হককে প্রত্যাহার করতে হবে। বর্তমান শিক্ষাসচিব আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন শুরু করেছে। অবিলম্বে মাউশির মহাপরিচালককে পদত্যাগ করতে হবে।

তারা বলেন, মাউশির ডিজি পদে পদায়ন পাওয়া অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হক বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ অনুচর হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। তার হাত ধরেই বরিশাল বিএম কলেজের রসায়ন বিভাগ থেকে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন পান অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হক। আওয়ামী বলয়ের প্রভাবশালী অধ্যক্ষ হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ লোপাট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বিস্তর অভিযোগে পাঁচ আগস্টের পরে অধ্যক্ষ পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক আন্দোলন, আলটিমেটাম এবং শিক্ষা সচিবের লিখিত অভিযোগ দেন। এরপরই তাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আওয়ামী ঘনিষ্ঠ অনুচর ও বিতর্কিত শিক্ষা ক্যাডারের এই কর্মকর্তা কীভাবে মাউশির ডিজির পদে আসীন হয় তা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটসহ শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজের কারো বোধগম্য নয়।

যার উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, মহাসচিব জাকির হোসেন, সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক বদরুল ইসলাম,‌ প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন, অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন লিটন, অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল, যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল হাকিমসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষক কর্মচারীরা।এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে ১০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে থাকে প্রত্যাহারের আলটিমেটাম দেয়। 

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএ্ন


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ